• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo
স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে যা বললেন শিক্ষা উপদেষ্টা
অনভিপ্রেত ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থগিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, একটা অনভিপ্রেত ঘটনার কারণে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এখনও সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পারিনি। টেস্ট, প্রি–টেস্টের মূল্যায়ন পত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হবে।  পরীক্ষার্থীদের কোনো পয়েন্ট বা সিজিপিএ দেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মাথায় এখনো এটা ধরছে না। আমি এ সম্পর্কে চিন্তাও করিনি। গতকাল যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার ফলে আমি এখনো চিন্তা করার সুযোগ পাইনি। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দেশে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২-১৩ লাখ, সচিবালয়ে যারা এসেছিল তাদের মতামতই সবার মতামত কি না তা যাচাই করার সুযোগ নেই। তবে, দেশের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়, সব কেন্দ্র পরীক্ষা নেওয়ার উপযোগী নয় এবং প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষার চ্যালেঞ্জকেও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে বলে জানান মাহমুদ। সচিবালয়ের ভেতরে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের ঢুকে পড়াটাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি। উল্লেখ্য, পরীক্ষার্থীদের দাবির মুখে মঙ্গলবার স্থগিত থাকা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনিবার্য কারণবশত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৪-এর স্থগিত পরীক্ষাসমূহ বাতিল করা হলো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
২১ আগস্ট ২০২৪, ১৮:৪৭

যেভাবে তৈরি হবে এইচএসসির বাতিল পরীক্ষার ফল
পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। এখন ফলাফল তৈরি ও প্রকাশ কীভাবে করা হবে, তা নিয়ে কাজ শুরু করবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। তবে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হবে এবং এ জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। বুধবার (২১ আগস্ট) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর ফল তৈরি করার জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করা হবে। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে ফল তৈরি করা যায়। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে আমরা সাবজেক্ট ম্যাপিং করে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করেছিলাম। সেই কমিটিটা এখনও রয়েছে। এ কমিটি এখন বিলুপ্ত করে নতুন আরেকটা বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করে সুপারিশপত্র জমা দেবেন। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ফল প্রস্তুত এবং প্রকাশ করা হবে। কবে নাগাদ কমিটি গঠন ও কাজ শুরু হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আবুল বাশার বলেন, আজই এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হতে পারে। কমিটি হলে তারা দায়িত্ব বুঝে নিয়ে শিগগিরই কাজ শুরু করবেন। এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, কীভাবে ফল তৈরি ও প্রকাশ করা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব বোর্ড এটা নিয়ে আলোচনা করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে। তারপর কীভাবে ফল তৈরি ও প্রকাশ করা হবে, তা চূড়ান্ত হবে। শিক্ষার্থীরা একটু ধৈর্য ধরুক। আমরা সব জানিয়ে দেব।
২১ আগস্ট ২০২৪, ১২:১১

এবার এইচএসসি পরীক্ষা ফেরাতে নটর ডেম শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ডাক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই চলমান এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত সব পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলো পরীক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। এবার সেই পরীক্ষা ফেরাতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা।  বুধবার (২১ আগস্ট) কলেজটির সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেওয়া এক বিবৃতিতে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করে একপাক্ষিকভাবে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তা নটর ডেম কলেজের ছাত্রসমাজ প্রত্যাখ্যান করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংঘটিত হয়েছিল মেধার বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্য। পরীক্ষা না নিয়ে পরিশ্রমী শিক্ষার্থীদের মেধার যে অবমূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা অযৌক্তিক। বিবৃতিতে সমস্যার সমাধানে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- উদ্ভূত পরিস্থিতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি অনুকূলে এনে এইচএসসি-২০২৪ পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে; বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এইচএসসি-২০২৪ ব্যাচের যে সকল বীর শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন তাদের তালিকা অতি দ্রুত প্রকাশ করতে হবে এবং তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। আহত বীর শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের  সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। তারা যৌক্তিক সময়ের পর পরীক্ষার অংশগ্রহণ করবেন নাকি কর্তৃপক্ষ তাদের অটোপ্রমোশন দেবেন না অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করা হবে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত অবিলম্বে নিতে হবে। আহত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে যেন অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো রকম বৈষম্যের শিকার হতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এতে আরও বলা হয়, পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং তিন দফার সমর্থনে ২০২৪ ব্যাচের পক্ষ থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। বুধবার দুপুর ২টার দিকে মতিঝিলের নটর ডেম কলেজ গেইটের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
২১ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩০

সচিবালয়ে ঢুকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করেছে কয়েক শ’ শিক্ষার্থী।  মঙ্গলবার (২০ আগস্ট ) দুপুর ২টার দিকে তারা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে জিরোপয়েন্টের দিকের সচিবালয়ের গেট দিয়ে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়েন।  সচিবালয়ে ঢুকে ৬ ও ১১ নম্বর ভবনের মাঝামাঝি জায়গায় মিছিল করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, দেড় মাসের পরীক্ষার জন্য আমরা কয়েক মাস ধরে ঝুলে আছি। তারা আমাদের কয়েক দিন আগেও জানিয়েছিল সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে পরীক্ষা হবে। তাহলে কী কারণে আরও এক মাস লাগবে পরীক্ষার জন্য। এরপর আবার এক মাসব্যাপী পরীক্ষা হবে। এত সময় নিলে আমাদের ফলাফল প্রকাশ করবে কখন? আর আমরা ভর্তি হব কবে? পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান এবং আলোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এর আগে, মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে অনুষ্ঠিত হবে। আর পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আরও ২ সপ্তাহ পেছানো হতে  পারে বলে সিদ্ধান্ত হয়।  অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।  
২০ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৩৯

এইচএসসির বাকি পরীক্ষার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বাকি বিষয়গুলো আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা আরও ২ সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে। একই সঙ্গে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপাতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগের যে বিষয়ে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো এখন সেই একই বিষয়ে চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তবে পরীক্ষায় আগের মতোই পূর্ণ সময় থাকবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অবস্থান নিয়ে পরীক্ষায় বসার মতো অবস্থায় নেই বলে বিক্ষোভ করেন পরীক্ষার্থীরা। যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতে পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবি জানান তারা।  পরীক্ষার্থীরা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থীও আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পড়ালেখায়ও ক্ষতি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় বসার মতো অবস্থা নেই। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সন্ধ্যায় দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বাস দেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আবুল বাশার। এরপরই মঙ্গলবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা অর্ধেক প্রশ্নোত্তর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। আর পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা আরও ২ সপ্তাহ পেছানোর সিদ্ধান্ত হলো। প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় স্থগিত করা হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথমে দফায় গত ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।  এরপর সিদ্ধান্ত হয় ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু পরে জানানো হয়, ১১ আগস্ট পরীক্ষা হচ্ছে না। অনিবার্য কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষা বোর্ডের একটি সূত্র বলেছিল, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ও দেশ ছেড়ে পালানো পর বিভিন্ন থানায় হওয়া হামলায় প্রশ্নপত্র রাখা ট্রাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছিল। স্থগিত পরীক্ষাগুলো সবশেষ আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে  নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল শিক্ষা বোর্ড। পরে তা অনুমোদনও করা হয়।
২০ আগস্ট ২০২৪, ১৪:২৭

স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও সরকার পরিবর্তনের কারণে স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাগুলোর নতুন রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে বাকি পরীক্ষাগুলো শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। এর আগে কয়েক দফায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। প্রথমে গত ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তারপর একসঙ্গে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এর পর আরেক দফায় ২৮ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরবর্তী পরীক্ষা ৪ আগস্ট থেকে শুরুর কথা থাকলেও তা স্থগিত হয়। সবশেষ গত ১১ আগস্ট নতুন সময়সূচিতে বাকি পরীক্ষাগুলো নেওয়ার কথা থাকলেও আগুনে প্রশ্নপত্র পুড়ে যাওয়াতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনিদিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়।
১৫ আগস্ট ২০২৪, ১৭:২৩

অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের বাকি পরীক্ষাগুলো।  বুধবার (৭ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি মাধ্যমিক শাখা-২ এর উপসচিব সাইয়েদ এ. জেড মোরশেদ আলীর সই করা এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।  এতে বলা হয়েছে, আগামী ১১ আগস্ট ২০২৪ তারিখ থেকে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৪-এর পরীক্ষাসমূহ অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করে পরীক্ষা গ্রহণের বিস্তারিত সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে মর্মে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর আগে কোটা সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী সহিংসতার কারণে দফায় দফায় চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তিন দফায় মোট আট দিনের পরীক্ষা স্থগিত করে বোর্ডগুলো। পরে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানানো হয়। গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এবারে পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।
০৭ আগস্ট ২০২৪, ১৬:৪৫

আটক এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মুক্তির জন্য যোগাযোগ করতে মন্ত্রণালয়ের মেইল আইডি
কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশজুড়ে ব্যাপক‌‌ সহিংসতার ঘটনায় বিভিন্ন মামলায় কোনো এইচএসসি পরীক্ষার্থী আটক হয়ে থাকলে তার মুক্তির জন্য সহায়তা করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত যোগাযোগ এবং তথ্য দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি ই-মেইল আইডি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ই-মেইলটি হল [email protected]। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে, বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেছেন, কোনো এইচএসসি পরীক্ষার্থী আটক থাকলে তাদের আইনি সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া আইন অনুযায়ী, কোনো পরীক্ষার্থী জেলে থাকলে সেখান থেকেও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।  এদিকে আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া তিন শিক্ষার্থী জামিন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ঢাকার সিএমএমের আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রাণহানির ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় না বসার ঘোষণা দিয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিবৃতি দিয়েছেন রাজধানীর নটর ডেম কলেজ, ঢাকা কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, বিএফ শাহীন কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজসহ আরও বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসব বিবৃতিতে তারা জানান, যতদিন পর্যন্ত অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারকৃত সব এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও অন্যদের মুক্তি দেওয়া না হয়, ততদিন পর্যন্ত তারা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন না। বিবৃতিগুলো শিক্ষার্থীরা নিজেদের ফেসবুক টাইমলাইন, বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে শেয়ার করেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের কলেজের প্রতিটি গ্রুপের ক্যাপ্টেন এবং শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে পরীক্ষা বয়কট করা হয়েছে।
০১ আগস্ট ২০২৪, ২০:৪৭

আটক এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইনজীবী নিয়োগ
কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশজুড়ে ব্যাপক‌‌ সহিংসতার ঘটনায় বিভিন্ন মামলায় তিনজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদেরকে আইনি সহায়তা দিতে আইনজীবী নিয়োগ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।  তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পুলিশের হেফাজতে থাকা তিনজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে আইনি সহায়তা দিতে আইনজীবী নিয়োগ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।’ এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রাণহানির ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় না বসার ঘোষণা দিয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত বিবৃতি দিয়েছেন রাজধানীর নটর ডেম কলেজ, ঢাকা কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, বিএফ শাহীন কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজসহ আরও বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এগুলো শিক্ষার্থীরা নিজেদের ফেসবুক টাইমলাইন, বিভিন্ন গ্রুপ ও পেইজে শেয়ার করেন। এসব বিবৃতিতে তারা জানান, যতদিন পর্যন্ত অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারকৃত সব এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও অন্যদের মুক্তি দেওয়া না হয়, ততদিন পর্যন্ত তারা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন না। এসব বিবৃতিগুলো শিক্ষার্থীরা নিজেদের ফেসবুক টাইমলাইন, বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে শেয়ার করেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের কলেজের প্রতিটি গ্রুপের ক্যাপ্টেন এবং শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে পরীক্ষা বয়কট করা হয়েছে। একই ধরনের কথা বলেন ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চলমান আন্দোলনে আমাদের সমর্থন রয়েছে। এভাবে আমাদের শিক্ষার্থী বন্ধুদের কারাগারে রেখে আমরা পরীক্ষায় বসতে পারি না।
০১ আগস্ট ২০২৪, ১৩:৩৩

বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষায় না বসার ঘোষণা
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রাণহানির ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় না বসার ঘোষণা দিয়েছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিবৃতি দিয়েছেন রাজধানীর নটর ডেম কলেজ, ঢাকা কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, বিএফ শাহীন কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজসহ আরও বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এগুলো শিক্ষার্থীরা নিজেদের ফেসবুক টাইমলাইন, বিভিন্ন গ্রুপ ও পেইজে শেয়ার করেন। এসব বিবৃতিতে তারা জানান, যতদিন পর্যন্ত অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারকৃত সব এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও অন্যান্যদের মুক্তি দেওয়া না হয় ততদিন পর্যন্ত তারা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন না। তারা বলেন, আমাদের কলেজের প্রতিটি গ্রুপের ক্যাপ্টেন এবং শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে পরীক্ষা বয়কট করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মতিঝিল নটর ডেম কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী বন্ধুদের কারাগারে রেখে আমরা পরীক্ষায় বসতে পারি না। এই আন্দোলনে আমাদের সমর্থন রয়েছে।
০১ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়